আপনি হয়তো প্রতিনিয়ত মিল্ক শেক খাচ্ছেন কিন্তু মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা জানেন না। মিল্ক শেক হচ্ছে একটি ড্রাই ফ্রুটস। তাই আপনারা এটি যেকোন সময় যেকোন ভাবে খেতে পারেন।তবে হালকা পরিমাণে পরিমাণ মতো খেতে হবে কোনভাবে অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া যাবে না। তাহলে আবার নানান রকমের সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন তখন কিন্তু ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।
তাই নিজেরাই অনেক দিক বিষয় বিবেচনা করে এই মিল্ক শেক খাবেন। যাদের শরীর দুর্বল তারা মিল্ক শেক খেতে পারেন।তাইতো মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে এই সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারণা দেওয়া হবে। মিল্ক শেক তৈরি হয় ক্যালরি এবং চিনি দ্বারা।
তাই যারা নিয়মিত মিল্ক শেক খেয়ে থাকে তাদের ওজন খুব দ্রুত বেড়ে যায়।তাই যাদের শরীর অত্যন্ত দুর্বল তারা কিন্তু এই মিল্ক শেক খেতে পারেন কোন সমস্যা নেই। তাইতো মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম জানিয়ে দেওয়া হবে।
মিল্ক শেক এর উপাদান
মিল্ক শেক এর মধ্যে যে সকল পুষ্টি উপাদান করে রয়েছে আপনার অনেকেই সেগুলো সম্পর্কে জানতে চান মিল্ক শেক এর মধ্যে বিভিন্ন রকমের পুষ্টিগুণ রয়েছে।
প্রতি ১০০ গ্রাম মিল্ক শেকের পুষ্টি উপাদান নিম্নে তুলে ধরা হলঃ
- ক্যালোরি ১১১.৮ গ্রাম
- পটাশিয়াম ১৮১ মিলিগ্রাম
- ক্যালসিয়াম ১৩%
- ভিটামিন ডি ১০%
- সোডিয়াম ৯৮ মিলিগ্রাম
- শর্করা ১৬ গ্রাম
- ফ্যাট বা চর্বি ১.৮ গ্রাম
- কোলেস্টেরল ১৪ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম ৩%
- প্রোটিন ৩. ৭ গ্রাম
- চিনি ১৬ গ্রাম
মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনি কি মিল্ক শেক খাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন? তাহলে মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারনা রাখতে হবে। মিল্ক শেক হচ্ছে মূলত দুধের সমন্বয়ে কৃত্রিম ভাবে মোটা হওয়ার খাবার। যারা বেশি পরিমাণে খাবেন তারা কিন্তু মোটা হবেন, আর যারা হালকা পরিমাণে খাবেন তাদের বডি ফিট হয়ে যাবে। তাই আপনারা এটি খেতে পারেন কোন সমস্যা নেই।
মিল্ক শেক আপনার শরীরের পুষ্টির অভাব পূরণ করতে পারে। মিল্ক শেক চিকন শরীরকে মোটা করতে খেতে পারেন, দাঁত ও হাড়কে মজবুত করতে পারে। কারণ মিল্ক শেক খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। পেশির গঠন ও আকৃতি পারফেক্ট রাখতে পারে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, শরীরের প্রচুর পরিমাণে এনার্জি নিয়ে আসে, স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে।
📌আরো পড়ুন 👇
মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা আমাদের জেনে নেওয়াটা জরুরি। আমরা আগে কিছু প্রধান উপকারিতাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তাই জানার জন্য অবশ্যই শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন। মিল্ক শেক এর উপকারিতাগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
মিল্ক শেক এর উপকারিতা
- মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য সাহায্য করে
- ভালোমানের পুষ্টি উপাদানের উৎস
- দাঁত ও হাড় গঠনে সহযোগিতা করে
- যারা শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান তাদের জন্য সহযোগি হিসেবে কাজ করে
- হৃদপিণ্ডের জন্য অনেক উপকারি। এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে
- শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি সরবরাহ করে। এতে করে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ হয়।
- যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে
- শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে
- এতে বিদ্যমান প্রোটিন ও ভিটামিন উপাদা শরীরের পেশির গঠনে সহযোগিতা করে
- যদি শরীরের কার্বোহাইড্রেটের অভাব থাকে তাহলে সেটি দূর করতে সহযোগিতা করে
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে।
- মিল্ক শেক প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি খাবার।
- মিল্কশেক আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
মিল্ক শেক এর অপকারিতা
আমরা এখন সকলেই মিল্ক শেক এর উপকারিতাগুলো জানি। এখন আমরা সকলেই মিল্ক শেক এর অপকারিতাগুলো সম্পর্কে জানবো। কেননা মিল্ক শেক আমাদের জন্য অনেক ভালো একটি খাবার হওয়া স্বত্ত্বেও যদি এটি বেশি পরিমাণে আমরা গ্রহণ করি তাহলে এটি আমাদের শরীরের জন্য বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তাই চলুন এই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি প্রতিদিন অনেক বেশি পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত খাবার খান তাহলে এটি আপনার শরীরের জন্য নিঃসন্দেহে বিরুপ প্রভাবে ফেলবে। আমরা সকলেই জানি যে মিল্ক শেক হলো সকলের জন্যই একটি মজাদার খবার। তবে এমনও নজির আছে মিল্ক শেক অত্যাধিক খাওয়ার জন্য তার স্বাস্থ্যের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
অগাস্ট ইউনিভার্সিটির মেডিক্যাল কলেজ অফ জর্জিয়ার গবেষকদের একটি সমিক্ষা অনুসারে জানা যায় আমদের গ্রহণকৃত উচ্চ চর্বিযুক্ত নাস্তা আমাদের শরীরের রক্তনালী দিয়ে লোহিত রক্তকনিকার মধ্যে পৌছিয়ে এর পরিবর্তন ঘটিয়ে থাকে। এই গবেষণার জন্য গবেষকেরা ১০ জন পুরুষ মানুষকে নিয়োগ করেন। আর তাদেরকে প্রতিদিন ৮০ গ্রাম করে উচ্চ ফ্যাটযুক্ত খাবার খেতে দেওয়া হয়।
তার পাশাপাশি তাদেরকে ১০০ ক্যালোরির পূর্ণ চর্বিযুক্ত দুধ এবং আইসক্রিম দিয়ে বানানো মিল্ক শেক খেতে দেওয়া হয়। তাদেরকে এই সুস্বাদু ও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ানোর পরে গবেষকেরা সেই পরিক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্যের অবস্থার পরিক্ষা করেন। আর সেই পরিক্ষায় তাদের রক্তনালীতে গভীরভাবে মনোযোগ দেওয়া হয়। আর গবেষকেরা জানতে পারেন তাদের রক্তনালী খুব সহজে প্রসারীত হয় না।
আর এজন্যই তাদের রক্তের আকৃতি পরিবর্তন করে। যার জন্য তাদের শরীরের অবস্থা আরো অবনতির দিকে ধাবিত হতে থাকে। মিল্ক শেকের অপকারিতা মানে হলো এতে থাকে উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার যদি আপনি অনেকদিন ধরে গ্রহণ করেন তাহলে এটি শরীরের ওপরে বাজে ধরণের প্রভাব ফেলতে পারে।
বিভিন্ন আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে তারা বলে থাকেন যে দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং কলাতে রয়েছে বিভিন্ন উচ্চমাত্রার ফাইবার যার কারণে আপনি যদি দুধ এবং কলা একই সঙ্গে খেয়ে থাকেন তাহলে এতে আপনার হরমোন এবং মস্তিষ্কের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে তাহলে আশা করি যে আপনারা মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা উভয়ই জানতে পেরেছেন।
মিল্ক শেক খেলে কি ওজন বাড়ে
হ্যাঁ, নিয়মিত মিল্কশেক খাওয়া ওজন বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে। বিশেষ করে যদি মিল্কশেক ক্যালোরি এবং চিনি বেশি থাকে। মিল্কশেকগুলি সাধারণত আইসক্রিম বা দুধ দিয়ে তৈরি করা হয়। উভয়ই ক্যালোরি এবং চর্বিযুক্ত। উপরন্তু, অনেক মিল্কশেকে যোগ করা শর্করা এবং সিরাপ থাকে। যা ওজন বৃদ্ধিতেও অবদান রাখতে পারে।
একটি সাধারণ মিল্কশেকের প্রায় 40 গ্রাম চিনি থাকে। অতিরিক্ত চিনি ওজন বৃদ্ধি, টাইপ 2 ডায়াবেটিস, এবং হৃদরোগ সহ স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত খেয়ে নিলে কিন্তু শরীরের নানান রকম ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই আপনাদের ওজন বাড়াতে হলে অবশ্যই এই মিল্ক শেক খাওয়ার মাধ্যমে ওজন বাড়াতে হবে। তাহলে দেখবেন যে খুব ভালো ফলাফল পেয়ে যাবেন।
মিল্ক শেক কোনটা ভালো
শুধুমাত্র মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা জানলে হবে না। আপনাকে এটিও জানতে হবে যে মিল্ক শেক আসলে কোনটা ভালো বা কোন ধরণের মিল্ক শেক সবচেয়ে ভালো হবে বা মিল্ক শেক গুনগত মান কেমন হবে অথবা আপনি কি কি বিষয় খেয়াল রেখে মিল্ক শেক ক্রয় করবেন। আসুন জেনে নেই।
মিল্ক শেকের গুণমান নির্ভর করে এর উপাদান, প্রস্তুতপ্রণালী, এবং ব্যক্তিগত পছন্দের উপর। সাধারণত, ভালো মিল্ক শেকের কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:
- তাজা উপাদান: ভালো মানের দুধ, আইসক্রিম, এবং তাজা ফল ব্যবহার করা হলে মিল্ক শেকের স্বাদ অনেক ভালো হয়।
- সঠিক অনুপাত: দুধ, আইসক্রিম, এবং অন্যান্য উপাদানের সঠিক অনুপাত মিল্ক শেকের গঠন এবং স্বাদ নির্ধারণ করে। খুব ঘন বা খুব পাতলা মিল্ক শেক ভালো নয়।
- স্বাদ: চকোলেট, ভ্যানিলা, স্ট্রবেরি, ম্যাঙ্গো ইত্যাদি বিভিন্ন স্বাদের মিল্ক শেক পাওয়া যায়। আপনার পছন্দের স্বাদ বেছে নিন।
- কৃত্রিম উপাদান মুক্ত: ভালো মিল্ক শেকে কৃত্রিম রং, ফ্লেভার, এবং প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয় না।
আসল মিল্ক শেক চেনার উপায়
আপনারা যারা বাজার থেকে বা বিভিন্ন দোকান থেকে এবং অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন সব থেকে মিল্কশেক কিনে থাকেন কিন্তু আপনারা জানেন না যে আসলে কোন মিল্ক সেটা আসল এবং কোনটি নকল তাহলে আপনাদের আসল মিল্ক শেক চিন্তে হলে যে বিষয়গুলো আপনাদের জানা প্রয়োজন।
প্যাকেট দেখেঃ আপনি যখন কোন দোকান বা অনলাইন সব থেকে মিল্কশীক কিনবেন তখন প্রথমে আপনার উচিত সেটি ভালো প্যাকেটটি দেখে নেওয়া এবং তার যে সকল গুনাগুন গুলো রয়েছে সেগুলো ভালো হবে পড়ে নেওয়া তাছাড়া আপনাকে প্যাকেটের গায়ের রং এবং প্যাকেটের লোগো ভালোভাবে দেখতে হবে।
পণ্যের সুগন্ধিঃ আপনি যখন বাজারে মিল্ক শেক ক্রয় করতে যাবেন তার পূর্বে সে পণ্যের স্বাদ এবং গন্ধ ভালো হবে জানতে হবে। আর ভালো মানের পণ্যের গন্ধ কখনই খারাপ হবে না তাই কোন পণ্য ক্রয় করার আগে পূসেই পণ্যের স্বাদ এবং গন্ধ ভালো হবে খেয়াল করতে হবে।
এবং দাম বা মূল্যঃ যেকোনো জিনিসের আসল নকল যাচাই-বাছাই করার মূল একটি বিষয় হলো মূল্য বা দাম অনেক সময় অরিজিনাল আসল পণ্যের দাম সব সময় বেশি হয়ে থাকে এবং নকল পণ্যের দাম কম হয়ে থাকে তাই ভালো জিনিসের দাম একটু বেশি হলেও আপনারা ভালো জিনিসটাই কিনবেন তাহলে আপনারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবেন।
অরিজিনাল মিল্ক শেক কোথায় পাওয়া যায়
অরিজিনাল মিল্ক শেক সাধারণত ভালো ক্যাফে, রেস্তোরাঁ, বা বিশেষায়িত মিল্ক শেক দোকানে পাওয়া যায়। কিছু জনপ্রিয় স্থান হলো:
📌আরো পড়ুন 👇
বিশেষায়িত মিল্ক শেক দোকান: অনেক শহরে বিশেষায়িত মিল্ক শেক দোকান রয়েছে যেগুলোতে উচ্চমানের উপাদান ব্যবহার করে অরিজিনাল মিল্ক শেক তৈরি করা হয়।
ক্যাফে এবং রেস্তোরাঁ: অনেক ক্যাফে এবং রেস্তোরাঁ তাদের মেনুতে মিল্ক শেক অন্তর্ভুক্ত করে। এখানে আপনি বিভিন্ন স্বাদের মিল্ক শেক পেতে পারেন।
ফাস্ট ফুড চেইন: কিছু ফাস্ট ফুড চেইন যেমন ম্যাকডোনাল্ডস, বার্গার কিং ইত্যাদি মিল্ক শেক অফার করে। তবে এগুলো সাধারণত প্রক্রিয়াজাত উপাদান দিয়ে তৈরি হয়।
স্থানীয় দুগ্ধ দোকান: কিছু স্থানীয় দুগ্ধ দোকানে তাজা দুধ এবং প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে মিল্ক শেক তৈরি করা হয়।
মিল্ক শেকের পছন্দ ব্যক্তিগত, তাই বিভিন্ন জায়গায় চেখে দেখুন এবং আপনার পছন্দের মিল্ক শেক খুঁজে নেওয়া উচিত।
মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি মিল্ক শেক খেতে চান তাহলে মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নেওয়ার পাশাপাশি মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম জানতে হবে।
খেজুরের মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম
বর্তমান সময়ে সকলের রান্না ঘরেই খেজুর থাকে। আর আপনি চাইলে আপনার হাতের কাছের খেজুর ব্যাবহার করেই আপনার জন্য একটি মিল্ক শেক তৈরি করে নিতে পারেন। এছাড়াও এই ফলটি সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের ক্ষেত্রে অনেকটাই ভালো। কিভাবে বানাবেন সেই রেসিপিটি চলুন জেনে নেই।
- খেজুর নিয়ে তার মধ্য থকে বিচি ছাড়িয়ে নিন।
- ২ চা চামচ পরিমাণ চিনি নিন
- প্রয়োজন মতো দুধ নিন
- কিছুটা আইস কিউপ নিন
উপরের উল্লিখিত এই সকল উপকরণগুলো একসাথে করে নিয়ে ভালো মতো একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। তারপরে এটিকে আপনার ইচ্ছামতো পরিবেশন করুন। এছাড়া আপনি যদি চান তাহলে এটির চিনির পরিমাণ ও পরিবর্তন করতে পারেন। তবে আপনি প্রাকৃতিক চিনি গ্রহণ করতে চাইলে এই খেজুরের মধ্যে থাকা চিনিই যথেষ্ঠ। এতে আর অতিরিক্ত করে চিনি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
স্ট্রবেরি মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম
বর্তমান সময়ে স্ট্রবেরি সহজলোভ্য হওয়ার কারণে সকলেই এটি কিনে খাচ্চে। তবে আপনি চাইলে এই সহজলোভ্য ফলটি দিয়ে একটি মিল্ক শেক তৈরি করে খেতে পারেন। কিভাবে তৈরি করবেন এটা নিয়ে ভাবছেন? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
- প্রথমে ৩ কাপ দুধ নিন,
- ভ্যানিলা ফ্লেভারের আইসক্রিম নিন ১ কাপ ,
- স্ট্রবেরি কিউপ করুন এবং স্ট্রবেরি ফ্লেভার যোগ করুন।
উপরের উল্লিখিত এই সকল উপকরণগুলো একসাথে নিয়ে একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। তারপরে সেটিকে আপনার ইচ্ছামতো পরিবেশন করুন। ব্যাস হয়ে গেলো আপনার স্ট্রবেরি মিল্ক শেক। আপনি যদি চান তাহলে আপনি এটি প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন।
মিল্ক শেক এর দাম কত বাংলাদেশে
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির এবং বিভিন্ন ফ্লেভারের মিল্ক শেক পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য আপনি হয়তো মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নেওয়ার পাশাপাশি মিল্ক শেক
এর দাম কত বাংলাদেশে তা জানতে চাচ্ছেন।
যেহেতু এই সকল কোম্পানিগুলো আলাদা আলাদা ধরণের তাই এর দামও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে এখন যদি আপনি বাংলাদেশের বাজার থেকে মিল্ক শেক কিনতে চান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০ টাকা পর্যন্ত।
তাই যারা মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নেওয়ার পাশাপাশি মিল্ক শেক এর দামগুলো জানতে চান তাদের জন্য নিচে কিছু মিল্ক শেকের দাম উল্লেখ করা হলো।
- ফুডস মিল্ক শেক ৮২০ টাকা কেজি
- ফুডস মিল্ক শেক পাউডার ৪০০ টাকা কেজি
- ভ্যানিলা ফ্লেভার মিল্ক শেক ৬৫০ টাকা কেজি
- চকলেট কিল্ক শেক ৭০০ টাকা কেজি
- ওয়েট গেইন মিল্ক শেক ফর হেলদি – ২০০ টাকা
- কমপ্লান চকোলেট মিল্ক শেক দাম – ৬৫০ টাকা
- ক্যালসাম নিউট্রিয়াস মিল্ক শেক – ৮৫০ টাকা
- পানামা ফুডস মিল্ক শেক – ৮৫০ টাকা
উপরের উল্লিখিত সকল মিল্ক শেকগুলো আপনার আশেপাশে অথবা কোন সুপার শপে গেলেই পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনি আপনার পাশের মুদি দোকানেও পেতে পারেন। তবে উল্লিখিত দাম গুলো অনেক সময় জায়গাভেদে কম-বেশি হয়ে থাকে। তাই ওয়েট গেইন মিল্ক শেক কেনার আগে মূল্য দেখে কিনবেন।
মিল্ক শেক বানানোর নিয়ম
মিল্ক শেক বানানোর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় বিষয়টি হল ঘনত্ব। ঘনত্ব যত বেশি হবে মিল্ক শেক তত বেশি স্বাদ হবে। প্রথমে আপনাকে একটি ব্লেন্ডারে এক কাপ পরিমাণ দুধ দিয়ে দিতে হবে এরপরে সেখানে পরিমাণ মতো আইসক্রিম দিতে হবে। কিন্তু আইসক্রিম ঢালার পরবে আপনাকে কিছুক্ষণ ফ্রিজের বাইরে রাখতে হবে যেন ব্লেন্ডারে পেস্ট করার সময় সেটি বেশি শক্ত না থাকে।
এরপরে আপনি যদি পরিমাণে কম ঘনত্ব পছন্দ করেন তাহলে দুধের পরিমাণ কমিয়ে দিন। তবে স্বাদ সবচেয়ে বেশি করতে হলে সেটি থক থকে কিংবা যেন একদম পাতলা না হয়ে যায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। এজন্য ব্লেন্ডারে যখন আপনি বেশিক্ষণ ধরে ব্লেন্ড করবেন।
তখন সেটি কিন্তু একদম পাতলা হয়ে যায় তখন সেটির স্বাদ ভালো হয় না তখন এমন পরিস্থিতি আপনি যখন পড়বেন তখন কিন্তু আপনার সে মিল্ক শেক ভালো লাগবে না তাই এটি ৭যুক্ত করতে হলে আপনাকে আইসক্রিমের ব্যবহার করতে হবে যেন আপনার মিল্ক শেক টি ঘন হয়ে যায়।
খেজুরের মিল্ক শেক তৈরির নিয়ম
খেজুরের মিল্কশেক তৈরি করতে হলে প্রথমে খেজুরের দানা বা বিক্সি ফেলে দিয়ে ৪ কাপ পরিমান খেজুর নিতে হবে। এরপরে পরিমাণ মতো চিনি ব্যবহার করতে হবে। এরপরে ৭০০ থেকে ৭২০ মিলিগ্রামের মত দুধ এবং এক কাপ পরিমাণ মতো আইসক্রিম ব্যবহার করতে হবে । এবার আপনি সেটি ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিয়ে পরবর্তীতে সেটি আপনি পরিবেশন করতে পারেন।
চকলেট মিল্ক শেক তৈরির নিয়ম
চকলেট মিল্ক শেক মূলত বাচ্চারা খুবই পছন্দ করে থাকে। চকলেট মিল্কশেক তৈরি করতে হলে প্রথমে দুই কাপ পরিমাণ দুধ তিন চা চামচ পরিমাণ ভ্যানিল হওয়ার এবং একটি কলা ও ক্যারামেল আইসক্রিমের ক্রিম ও দুই চে চামচ যেকোনো লিকুইড চকলেট ভালো হবে।
একটি ব্লেন্ডারের মধ্যে হালকা পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিয়ে সেটি বাচ্চাদের মাঝে পরিবেশন করতে পারেন। তবে এটি সপ্তাহে দুই দিন পরিমাণ মতো খাওয়ালে বেশ উপকার পেতে পারেন। তো আশা করছি আপনারা এতক্ষনে মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নেওয়ার পাশাপাশি মিল্ক শেক বানানোর নিয়ম বা মিল্ক শেক কিভাবে বানিয়ে খেতে হয় তা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।